23 Feb 2025, 12:59 pm

ঝিনাইদহের মহেশপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিনা রশিদে সাইকেল রাখার নামে কুদ্দুসের জোর পুর্বক অর্থ বানিজ্য

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

স্টাফ রিপোর্টার : ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিনা রশিদে সাইকেল-মটর সাইকেল রাখার নামে জোর পুর্বক অর্থ বানিজ্য করছেন আব্দুল কুদ্দুস নামে এক ব্যাক্তি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিভিন্ন এলাকা থেকে রোগী ও তার স্বজনদের নিয়ে আসা সাইকেল ও মটর সাইকেল রাখেন আব্দুল কুদ্দুস নামের এক ব্যক্তি। যদি কোন রোগীর স্বজনরা আব্দুল কুদ্দুসের কাছে তার সাইকেলটি রাখতে অপারগতা প্রকাশ করেন তাহলে তাদের সাথে মারমুখি আচারন করেন তিনি।এমনকি অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজও করেন তিনি।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী নিয়ে আসা সাধারণ মটর সাইকেল আরোহী,গণমাধ্যম কর্মী ও ইলেট্রোক্সি মিডিয়ার সংবাদ কর্মীরাও তার হাত থেকে রেহায় পাচ্ছেনা।গণমাধ্যম কর্মী ও ইলেট্রোক্সি মিডিয়ার সংবাদ কর্মীদের কাছে থেকেও জোর পুর্বক টাকা দাবি করেন আব্দুল কুদ্দুস।

দেখা গেছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান গেট পার হতেই একটি লম্বা বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেট দিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী নিয়ে আসা সাইকেল-মটর সাইকেল আরোহীদের বাধ্য করা হচ্ছে তার কাছে তাদের গাড়ী রাখতে। নিরুপায় হয়ে রোগী নিয়ে আসা সাধারণ মটর সাইকেল আরোহীরা আব্দুল কুদ্দুসের কাছ থেকে রশিদ বিহীন ১০ টাকা দিয়ে একটি টিকিট নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রবেশ ও বাহির হতে হচ্ছে। তিনি এমনি একজন ক্ষমতাধর ব্যাক্তি যে, গনমাধ্যম ও ইলেট্রোক্সি মিডিয়ার সংবাদ কর্মীদেও তার নিকট পরিচয় দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে হয়। তার কথার অবাধ্য হলে ফেরার সময় তিনি বলেন,১০ টাকা দেন নাহলে মটর সাইকেল এখানে রেখে যান। এখানে আমাদের আইন মেনে চলতে হবে,আপনাদের ইচ্ছামত প্রবেশ করা যাবেনা।

আব্দুল কুদ্দুস জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বিভিন্ন সময় প্রায় ১০/১২টি সাইকেল ও ৪/৫টি মটর সাইকেল চুরি হওয়ার কারনেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশে আমি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আশা রোগীর স্বজনদের সাইকেল-মটর সাইকেল রেখে আসছি। আমি কারো সাথে এখানে কোন দূরব্যবহার করিনি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা (টিএইচও) ডাঃ হেদায়েত মাহামুদ সেতু জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে সাইকেল ও মটর সাইকেল রাখলে অনেক ঝামেলার সৃষ্টি হয়। সে কারনেই পৌর মেয়র আব্দুর রশিদ খান নিজেই সাইকেল গ্যারেজটি নির্মাণ করে দিয়েছেন। গ্যারেজটিতে পৌরসভা থেকেই একজনকে রাখা হয়েছে। সে যদি কোন রোগী বা রোগীর স্বজনের সাথে দূরব্যবহার করে তাহলে আমি বা পৌর মেয়র বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেব।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *